মংলায় ৫৬০ কেজি জাটকা আটক, ২৮ জনের কারাদণ্ড

মংলার পশুর নদীর ত্রিমোহনা এলাকা থেকে দুটি ট্রলারে থাকা ৫৬০ কেজি জাটকা ইলিশসহ ৩২ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শুক্রবার আটক ব্যক্তিদের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী প্রিন্স। চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মংলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মংলা বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীর ত্রিমোহনায় অভিযান চালান কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় অভিযানকারীরা দুটি মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৫৬০ কেজি জাটকা ইলিশ, দুই হাজার ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ, ৩২০ কেজি শুঁটকি, ৬০ কেজি কাঁকড়া ও ৯০ হাজার মিটার বেন্দি জাল জব্দ করেন। জাটকা ধরা ও পাচারের অভিযোগে ওই দুই ট্রলার থেকে ৩২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে চারজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। আর অপর ২৮ জনকে জাটকা শিকারের অপরাধে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী প্রিন্স শুক্রবার বিকেলে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদর দপ্তরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জনের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ আরো জানান, জব্দ করা মাছ ও জাল উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ও দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের বাগি বাগেরহাটের শরণখোলা ও খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানিয়েছেন মেহেদী মাসুদ।
মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। আর বেন্দি জাল আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হবে।’