আমি ষড়যন্ত্রের শিকার
বরগুনায় পৌরসভা নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ অভিযোগ করেছেন।
নির্বাচনে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ১৯ দিন চিকিৎসার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা ফিরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।
বরগুনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মহারাজ বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি সুদীর্ঘ বছর ধরে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। যত দিন বেঁচে আছেন তত দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মান রাখতে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবেন।’
মতবিনিময় সভার আগে মহারাজ বেলা ১১টার দিকে তাঁর কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রথমে বরগুনার ফার্মেসি পট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগ অফিসে যান। সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে তাঁর সব কর্মী ও সমর্থকসহ বরগুনাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
মহারাজের আগমন উপলক্ষে শহরে শত শত কর্মীসমর্থকের অংশগ্রহণে এক শোভাযাত্রা বের হয়। তিনি বরগুনা সদর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মহারাজসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় মহারাজকে প্রথমে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে দেখতে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।