বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সন্তোষজনক : মন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক আছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আজ রোববার সকালে বিমান দুর্ঘটনা মোকাবিলার মহড়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বমান নিশ্চিত করতেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
‘আকাশ পথে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এয়ারলাইনসগুলোকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলোকেও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
মেনন বলেন, ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা, সচেতনতা ও পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিকরাসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির দুর্ঘটনার সময় উপযোগিতা যাচাই করে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধানের মাধ্যমে প্রকৃত দুর্যোগের সময় অনুসন্ধান ও উদ্ধার (সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ) কাজের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে এ বিমান দুর্ঘটনা মোকাবিলায় মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় বিমানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি এবং করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
এ সময় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক জানান, বিশ্বের প্রায় সব দেশের মতোই, বাংলাদেশের বিমানবন্দরেও নিরাপত্তা বাড়াতে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে।
মহড়ায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও হেলিকপ্টার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডসহ বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিভিন্ন এয়ার লাইনস অংশ নেয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল সানাউল হক, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর এ মোস্তাফিজুর রহমান এতে উপস্থিত ছিলেন।