স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব

জাতীয় সংসদের স্পিকারের মাসিক বেতন ৫৭ হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ১২ হাজার টাকা এবং ডেপুটি স্পিকারের মাসিক বেতন ৫৩ হাজার ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন বাড়ানো সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিলটি অধিকতর যাচাই ও বাছাইয়ের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের বেতন, ভাতা, পারিতোষিক, বিশেষ অধিকার ইত্যাদি স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রিউমারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট ১৯৭৪ দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করার কারণে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য সময়োপযোগী বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করা আবশ্যক।’
বিলে স্পিকারের মাসিক বেতন ৫৭ হাজার ২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এক লাখ ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মাসিক ব্যয় নিয়ামক ভাতা ৮ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ১৩ হাজার টাকা, বিমানযোগে ভ্রমণকালে বীমা কাভারেজ ১০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। স্পিকারের দৈনিক ভাতা এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে তিন হাজার টাকা, স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ১০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিলে ডেপুটি স্পিকারের মাসিক বেতন ৫৩ হাজার ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা কারার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাসিক ব্যয় নিয়ামক ভাতা ৬ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। বিমানযোগে ভ্রমণকালে বিমা কাভারেজ পাঁচ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে আট লাখ টাকা, দৈনিক ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দুই হাজার টাকা এবং স্বেচ্ছাসেবী তহবিল আট লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ লাখ টাকা কারার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্পিকার অ্যান্ড ডেপুটি স্পিকার (রিউমারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট ১৯৭৪ সংশোধন করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।