জাতীয় সংসদের ক্যান্টিনে ভাত, ডাল, ডিমভাজা কিংবা সবজির জন্য হুড়োহুড়ি ঘটনা ঘটছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও খাবার পানি। এমনকি সংসদের প্রধান হুইপ খাবার না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন।

গ্যাস সংকটের কারণে বাবুর্চিরা রান্না করতে পারেননি বলে জানা গেছে। বিকল্প উপায়ে রান্না হলেও সংসদের সবার জন্য যথেষ্ট নয়। সারা দেশে তীব্র গ্যাস সংকটের মধ্যে আজ মঙ্গলবার সংসদের ক্যান্টিনেও এর প্রভাব পড়ে।

সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকে খাবার পাননি। কেউ কেউ বাধ্য হয়েই বাসায় চলে গেছেন। আর অনেক চেষ্টা করে খাবার পেলেও সিদ্ধ না হওয়ায় খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সংসদের নবম তলায় অবস্থিত সংসদ সদস্য ক্যাফেটেরিয়ার বাবুর্চি আজিজ জানান, গ্যাসের অভাবে রান্না বন্ধ থাকলেও অর্ডার বন্ধ নেই। তাই হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে।

আইন শাখা ২-এর অফিস সহকারী কবির জানান, তাঁর বসের অর্ডার অনুযায়ী খাবার আনতে গিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও খাবার পাননি তিনি।

হুড়োহুড়ির মধ্যে নিজের শাড়িতে ডাল পড়ে যায় সেবিকা রানী নামে এক কর্মকর্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাসাতেও গ্যাস নেই। কিন্তু জাতীয় সংসদে গত ১০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। ডাল, ভাত আর সবজি আনতে গিয়ে শাড়ি নষ্ট হলেও আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করেও ভাত পাইনি।’ অনেক চেষ্টা করে ভাত আর ডিম ভাজা পেয়েছেন আবদুল হক নামে এক কর্মচারী। কিন্তু সেদ্ধ না হওয়ায় সেই ভাত খেতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘সংসদে আজ ২০ বছর ধরে চাকরি করি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যে কোনোদিন পড়তে হয়নি।’

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘আমিও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে খাবার না পেয়ে বাসায় চলে গেছি। কিন্তু সেখানেও গ্যাস নেই। এই সমস্যা শুধু সংসদে না, পুরো ঢাকা শহরেই। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যাবে।’