দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠী ৯ হাজার ৩৭৯ জন

দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নয় হাজার ৩৭৯ জন বলে সংসদে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন।
আজ বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে সর্বশেষ জারি করা তথ্য অনুযায়ী হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নয় হাজার ৩৭৯ জন এবং হরিজন সম্প্রদায়ের সংখ্যা ১২ লাখ ৮৫ হাজার একজন।’
প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৮৮ হাজার আটজন
নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রমোদ মানকিন জানান, প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ লাখ ৮৮ হাজার আটজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ডাক্তার কর্তৃক শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের তথ্য সফটওয়্যারে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
মহিলা আসন-৪৩ এর সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি দেশের শিল্পপতি, বিত্তবানদের সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’
দুই হাজার ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে
ঢাকা শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান প্রমোদ মানকিন। তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এর পাশাপাশি সারা দেশে এই কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হবে।’
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরীর ১০টি জোনে ১০ হাজার ভিক্ষুকের ওপর জরিপকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপকৃতদের মধ্যে দুই হাজার জনকে পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাইলটিং প্রজেক্ট হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় ৩৭ জন ও জামালপুর জেলায় ২৯ জনকে রিকশা, ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রমোদ মানকিন আরো বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে পাইলটিংয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরের বিমানবন্দর, সোনারগাঁও হোটেল, রূপসী বাংলা হোটেল, র্যাডিসন হোটেল, বেইলি রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকাগুলোকে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’