উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন বাংলাবান্ধা দিয়ে পারাপার নেই
উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো যাত্রী পারাপার হয়নি। এর কারণ ভিসা জটিলতা বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসহ স্থানীয় লোকজনকে। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনী দিনে বিশেষ ভিসায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফুল আলম পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩২ জন বাংলাদেশি বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণে যান। শুক্রবার দ্বিতীয় দিন এ চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের কোনো যাত্রী পারাপার হয়নি।
পাসপোর্টধারীরা জানিয়েছেন, অনেকের ভিসায় বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা, হিলি, বেনাপোল উল্লেখ থাকায় তারা বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করতে পারছেন না।
পারটেক্স ফার্নিচারের ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর হারুন উর রশিদ বাবু জানান, তাঁরসহ অনেকেরই ভিসা অন্য রুটের। বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করতে হলে ভারতীয় হাইকমিশন রংপুরের ভিসা সেন্টারে রুট পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর তিনি এ চেকপোস্ট ব্যবহার করতে পারবেন। আবার যাঁরা নতুন পাসপোর্টধারী তাঁরা বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি রুটের ভিসার জন্য আবেদন করলে এ পথ ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসেউল গনি জানান, দ্বিতীয় দিনে ভারত-বাংলাদেশের কোনো যাত্রী পারাপার হয়নি। ভিসা জটিলতা নিরসন বা নতুন করে এই রুটের ভিসা সরবরাহ শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংকসহ অন্য মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারী, সাংবাদিক ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
ভারত ভ্রমণকারী পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফুল আলম পাটোয়ারী জানান, বাংলাবান্ধা এলাকায় কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরেরই নেটওয়ার্ক নেই। নেটওয়ার্ক না থাকায় প্রয়োজনীয় কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। কারো সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।
ভারত ভ্রমণকারী মাহাবুবুল আলম মন্টু বলেন, ‘বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে প্রথম ভারত যাচ্ছি। কিন্তু ভারতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।’
সাংবাদিকরা জানান, নেটওয়ার্ক না থাকায় বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কাভারেজ দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। বাংলাবান্ধা থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে গিয়ে কোনোরকমে সংবাদ পাঠানো হয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন জানান, বাংলাবান্ধায় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হয়েছে। তিনি বাংলাবান্ধা ও তেঁতুলিয়ায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নেটওয়ার্ক না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে গ্রামীণফোন পঞ্চগড়ের টেরিটোরি অফিসার জীবন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা নিজেরাও এই সমস্যায় পড়েছি। নেটওয়ার্ক না থাকার বিষয়টি আমরা রিজিওনাল হেডসহ টেকনোলজি বিভাগে জানিয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই বাংলাবান্ধায় টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।’