জুয়েলের পরিবারের সদস্যরা চার শিশু হত্যায় জড়িত
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এ মামলার অন্যতম আসামি জুয়েল। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক আরো তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জবানবন্দি শেষে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আজ রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আসামি জুয়েলকে হবিগঞ্জের বিচারিক হাকিম কৌশিক আহমদ খোন্দকারের আদালতে হাজির করা হয়। তিনি সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
শহীদুল ইসলাম আরো দাবি করেন, ‘জুয়েল এ মামলার আরেক আসামি রুবেলের ভাই। রুবেলও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জুয়েল যা বলেছেন, রুবেলও তাই বলেছেন। জুয়েল জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যরা জড়িত।’
পুলিশ জানিয়েছে, রুবেলের দেওয়া তথ্য অনুসারে গতকাল শনিবার দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে সালেহ আহমদ নামে একজনকে আটক করা হয়। তাঁকে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ রোববার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয় সালেহকে। একই সঙ্গে আদালতে আনা হয় বসির ও আরজুকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। কিন্তু আজ ছুটির দিন থাকায় তাদের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামীকাল সোমবার এ শুনানি হতে পারে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। এরপর গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাটির নিচ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুরা হলো বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।