বাচ্চু মিয়াকে সুন্দ্রাটিকিতে কবর দিতে বাধা
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার চার শিশু হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাচ্চু মিয়ার লাশ সুন্দ্রাটিকি গ্রামে দাফন করতে দেননি এলাকাবাসী। পরে সমস্যা নিরসনে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন বাচ্চু মিয়া। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতে তাঁকে দাফনের জন্য গ্রামে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গ্রামের কোথাও বাচ্চু মিয়াকে কবর দিতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন এলাকাবাসী। সুন্দ্রাটিকি কবরস্থানেও বাচ্চু মিয়াকে দাফন করতে দেননি স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুন্দ্রাটিকি গ্রামে আসেন বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম। গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে এবং বাচ্চু মিয়ার মা ও স্ত্রীর অনুরোধে নিজেদের বসতভিটার জমিতে বাচ্চু মিয়াকে দাফনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পরে রাতে সেখানেই বাচ্চু মিয়াকে কবর দেওয়া হয়।
এদিকে, এই হত্যা মামলার আরেক আসামি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার শাহেদকে রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শাহেদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র।
গতকাল সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কাজী মনিরুজ্জামান শাহেদকে চার শিশু হত্যাকাণ্ডের ‘নাটের গুরু’ আখ্যায়িত করে জানিয়েছিলেন, শিশুদের অপহরণ থেকে খুন করা পর্যন্ত জড়িত ছিল শাহেদ।
পরে শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশে সোপর্দ করে র্যাব। আদালত থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের অনুমতি নিয়ে শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রামের কাছে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।