কক্সবাজার কারাগার থেকে মুক্ত ফরাসি মানবাধিকারকর্মী

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার অভিযোগে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ফ্রান্সের মানবাধিকার কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর ‘সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের’ দায়ে মুসা বিন ইয়াকুব নামের ওই ফরাসি নাগরিককে আটক করা হয়। পরে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও বিবাদসৃষ্টি চেষ্টার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কক্সবাজার কারাগারের সহকারী কারাপ্রধান অর্পণ চৌধুরী টেলিফোনে এএফপিকে জানান, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় গতকাল দুপুরে তাঁকে (মুসা) কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্স দূতাবাসের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ৭০ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন মুসা। তবে কারাগার থেকে ছাড়া পেলেও বাংলাদেশ ত্যাগ করতে পারবেন না তিনি। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবেন না তিনি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত জানুয়ারি মাসে জামিন পেলেও মুসার নাম সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি পেতে সময় লাগে বলে জানিয়েছে এএফপি। কক্সবাজার আদালতের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে কাজ করার সময় তিনি যে নাম ব্যবহার করতেন তার সঙ্গে পাসপোর্টের নামের মিল না হওয়ায় জামিনে মুক্ত হতে সময় লাগে তাঁর।
এএফপি জানিয়েছে, বারাকা সিটি নামে একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার হয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করতে বাংলাদেশে আসেন মুসা। কাজ করার একপর্যায়ে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে তাঁর মুক্তির দাবিতে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তিনি।
নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে মুসার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বারাকা সিটি।
রোহিঙ্গারা মূলত বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের নাগরিক। তারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা বেড়ে যাওয়ায় দেশটির রাখাইন প্রদেশের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় পালিয়ে আশ্রয় নেয় বহু রোহিঙ্গা।