দুজন দুই ওয়ার্ডে প্রার্থী, তবু সংঘর্ষ-গোলাগুলি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/11/photo-1457703535.jpg)
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় নির্বাচনী আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদস্য পদপ্রার্থী আজিজুর রহমান এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদস্য পদপ্রার্থী কামরুল ইসলামের সমর্থকরা এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আহতদের প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং পরে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মোহাম্মদ খায়রুল আনাম জানান, উদয়পুর ইউনিয়নের আজিজুর রহমান ও কামরুল ইসলামের সমর্থকরা সকালে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সকাল থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল আলম ছানা উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রবিউল, শওকত শরিফ, মনির সরদার, লিয়াকত আলী ও জামাল শরীফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম ছানা জানান, তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উভয়পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
অপরদিকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী মফিজুর রহমান এ অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ করেন বনগ্রাম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোল্লা আবদুল জব্বার।
মফিজুর রহমান ও মোল্লা আবদুল জব্বার চেয়ারম্যান পদে একাধিকবার বিজয়ী হয়েছেন।