রাঙামাটিতে ৫ জন রিমান্ডে, ৯ জন জেলহাজতে

রাঙামাটির বরকলে বিজিবির হাতে আটক এক ভুয়া সেনা কর্মকর্তা ও তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাঙামাটির বিচারিক হাকিম আদালত তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বাকি নয়জনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁদের জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ রোববার রাঙামাটির মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬ জনকে হাজির করে পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। রিমান্ড আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী মোহাম্মদ মোহসেন মামলার আসামি বিভাষ দেওয়ানকে দুইদিন এবং অপর চারজন রিটেন চাকমা, জ্ঞান লাল চাকমা, সোহেল চাকমা ও স্মৃতি বিকাশ চাকমাকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার বাকি নয় আসামিকে রিমান্ড না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আগামী ২৯ মার্চ আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
রাঙামাটি রাজবন বিহারের তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ ১২ জনের একটি দল শুক্রবার রাঙামাটির বরকলে ঘুরতে যায়। ওই সময় স্থানীয় একটি বিজিবি ক্যাম্পে এই দলের সঙ্গে থাকা বিভাষ দেওয়ান নিজেকে সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিলে বিজিবির সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ভুয়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর এবং তাদের একজনের কাছে সেনাবাহিনীর পোশাক এবং পরিচয়পত্র পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা বিভাষ দেওয়ানসহ ১২ জনকে আটক করে বরকল পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটকের পর বিভাষ দেওয়ানের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ৭-এর সদস্যরা ওই দিনই অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে আরো চার যুবককে আটক করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন। তাদের কাছেও সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র পায় র্যাব।
আটক ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি গোপন তথ্য ফাঁসের আইনে মামলা করা হয়।
আজ আসামিপক্ষের জামিন আবেদন ও রাষ্ট্রপক্ষের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং বাকিদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা জানিয়েছেন, রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত একজন আসামিকে দুইদিন এবং চারজনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এদের মধ্যে তিনজন প্রবজ্জ্যধারী বৌদ্ধভিক্ষুকে রিমান্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।