কক্সবাজারে সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, বর্জন এবং গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার জেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সংঘর্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফিরোজ খান চৌধুরী সকালে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
আহতদের মধ্যে সাতজনকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।টেকনাফ সদর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সহকারী জিয়াউর রহমান বলেন, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
কুতুবদিয়ায় আজ সকাল ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ফিরোজ খান চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ৮টার পর কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখি, আমাদের নেতাকর্মী ও এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে এবং নৌকা প্রতীকে সিল মারা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আমি ভোট বর্জন করেছি।’
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জিয়াউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তিনটি কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ব্যালট পেপারে সিল মারছেন।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘গোদারবিল, কুচুবুনিয়াসহ কয়েকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এসব কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ালে সুষ্ঠু ভোট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।’