ফিরে এলো বাংলার বাঘেরা
স্বপ্নপূরণ করে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের হয়তো আরো উঁচুতেও নিয়ে যেতে পারত মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে দুর্ভাগ্য আর ‘বিতর্কিত’ আম্পায়ারিংয়ের কারণে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাতে অবশ্য খেদ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকরা দেশে ফিরলেন বীরের বেশেই। বিমানবন্দরে নেমেই পেলেন ফুলেল সংবর্ধনা।
অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলার বাঘদের নিয়ে আসা বিমানের অবতরণের কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তবে কিছুটা বিলম্ব করে সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাশরাফিরা। তাঁদের বরণ করে নেওয়ার জন্য সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে হিসাবে পায় ৫৭ দিন পর দেশের মাটিতে ফিরলেন বাংলার বীরেরা।
২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে সুপার এইট পর্বে খেললেও এবারের বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলেছে নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচ। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই মাশরাফির দল যেভাবে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে দেশের ক্রিকেট নিয়ে নতুনভাবে আশা জেগেছে সমর্থকদের।
১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানকে হারিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা পণ্ড হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ সমালোচিত হয়েছিল বাংলাদেশের ফিল্ডিং। বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ-স্টাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন মুশফিক-মুমিনুলরা। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯২ রানে। কিন্তু সেই হতাশা দূর করে দিতে খুব বেশি সময়ও নেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ৩১৮ রান তাড়া করে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ভালোভাবেই ফিরেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।
বাংলাদেশ শেষ আট নিশ্চিত করে ফেলে নিজেদের পরের ম্যাচেই। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তিন উইকেটের জয় পেয়েছিল কিউইরা।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত অর্জনও কম নয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানরা জাগিয়েছেন স্বর্ণালি ভবিষ্যতের আশা।