লক্ষ্মীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কবির নিজেকে যুবলীগের স্থানীয় নেতা বলে দাবি করেছেন। পুলিশের দাবি, তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রতনেরখিল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ ঘটে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, গতকাল রাত ৩টার দিকে রতনেরখিল এলাকায় একদল লোক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় টহল পুলিশকে দেখে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কবির হোসেন গুলিবিদ্ধ হন, অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি এলজি ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ কবিরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান ওসি।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ কবির হোসেন নিজেকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমি লেগুনায় করে মান্দারী এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর যাচ্ছিলাম। এ সময় লেগুনা থামিয়ে পুলিশ আমার নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করে আটক করে। পরে আমাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে আমার চোখ বেঁধে পুলিশ অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। রাত ১২টার পর পায়ে গুলি করে হাসপাতাল ভর্তি করে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন পাটোয়ারী গুলিবিদ্ধ কবির হোসেন সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে নিশ্চিত করেন। সদর উপজেলার মান্দারী গ্রামে তাঁর বাড়ি।
তবে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ুন কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। এতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির হোসেনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।