মংলায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ

মংলায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা নিয়ে তা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার, মাঠ সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে।
এ সব অনিয়মের কথা স্বীকার করে উপজেলা সমন্বয়কারী বলেন, অনিয়ম হলেও বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। এদিকে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অনিয়ম আর না ঘটে সে জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীকে সতর্ক করেছেন।
জানা গেছে, মংলা উপজেলার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুন্দরবন ইউনিয়নের বৈদ্যমারী গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও কিস্তি বাবদ প্রায় দুই লাখ এক হাজার ৫০০ টাকা এবং দ্বিগরাজ সুন্দরবন গ্রাম উন্নয়ন সমিতি থেকে সঞ্চয় ও কিস্তি বাবদ প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার ১১২ টাকা আদায় করেন। কিন্তু আদায় করা টাকা স্থানীয় এজেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা নিশ্চিত করতে ও হস্তমজুদ টাকা প্রদানে ব্যর্থ হন। মাঠ সহকারী মাসুদ শেখ সমিতির সঞ্চয় ও কিস্তি ব্যাংকে জমা না করে পাস বই, সঞ্চয় ও কর্জের খতিয়ানসহ প্রায় তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬১৭ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে পোস্টিং দেন। যার ফলে অন্যান্য সমিতির অনলাইন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্ত সুন্দরবন ইউনিয়নের প্রায় ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৪ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভুল পোস্টিং দেওয়ায় আর্থিক লেনদেনের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালিত এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম করেছেন, সেসব অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি প্রকল্পের সমন্বয়কারী। প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে জবাব পেয়েছেন তাও সন্তোষজনক নয় বলে উঠে এসেছে মংলার ইউএনওর সতর্কীকরণ নোটিশে।
অনিয়মের কথা স্বীকার করে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মংলা উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি বলেন, অনিয়ম হলেও বিষয়টি এখন সবার সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে।
এদিকে মংলার ইউএনওর হস্তক্ষেপে প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেওয়া ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০ হাজার টাকাই ফেরত দিয়েছেন অভিযুক্তরা। বাকি টাকাও স্বল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
ইউএনও মুহম্মদ আলী প্রিন্স বলেন, অভিযুক্তরা ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এরই মধ্যে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকাও দ্রুত আদায় করা হবে। তবে তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যেন এমন অনিয়মের ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য প্রকল্প সমন্বয়কারীকে সতর্ক করা হয়েছে।