সাত খুন : নূর হোসেনের সহযোগী ৭ দিনের রিমান্ডে
সাত খুন মামলার সন্দেহভাজন আসামি রহম আলীকে (৪২) সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপম এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রহম আলী। এ খুনের ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
সাত খুনের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের কাছ থেকে এ ঘটনায় রহম আলীর সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে বলেও জানান সাখাওয়াত হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং থানার দেবপুর গ্রাম থেকে রহম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন।
উল্লেখ্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, কমান্ডার এম এম রানাসহ ১৯ র্যাব সদস্যের মধ্যে ১৮ জন সাত খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন।