এবার গাইবান্ধার বিদ্যালয়ে রডের বদলে বাঁশ!

ঠিকাদারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের শৌচাগারের ঢালাইয়ের কাজ হতো রাতে। ঢালাইয়ে রডের বদলে পাওয়া যায় বাঁশের কঞ্চি। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেঞ্চের লোহার কাঠামো (ফ্রেম) ভেঙে তা ব্যবহার করেছেন ঢালাইয়ের কাজে!
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান ঢালাইয়ের কাজে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপরই রাজমিস্ত্রিরা পালিয়ে যান।
এর আগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় নির্মাণাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে এনটিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই আলোড়নের মধ্যে গাইবান্ধায় রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের আরেকটি খবর পাওয়া গেলো।
রামচন্দ্রপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের আওতায় আট লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ঠিকাদার আবদুল খালেক ওই নির্মাণকাজের দায়িত্ব পান।urgentPhoto
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, ঠিকাদার রাত ছাড়া ঢালাইয়ের কাজ করতেন না। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে রাতের অন্ধকারে মিস্ত্রিরা রডের বদলে ঢালাইকাজে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করেন। এমনকি ঠিকাদার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি শ্রেণিকক্ষ খুলে নিয়েছিলেন মিস্ত্রিদের থাকার জন্য। সেই কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহৃত বেঞ্চ ভেঙে তার পুরাতন লোহার ‘ফ্রেমটিও’ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করেন।
আজ শনিবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর শৌচাগারের একটি অংশ ভেঙে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ ওই কমিটির সদস্য সচিব।