বন্দিদের সহায়তা করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

কারাগারে বন্দি অপরাধীদের সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন তা সরকার করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার ঢাকার কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, যারা একেবারে জঘন্য কর্মকাণ্ড করছে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে করি যে আমাদের বন্দিদের বিষয়টা দেখতে হবে।’ এই বন্দিদের সমস্যাগুলো জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া কারাগারের পরিবেশ ও বন্দিদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়েও কিছু পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজের বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। মানুষের কল্যাণ করা আমাদের একমাত্র কর্তব্য বলে আমি মনে করি। কারণ জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ঘরে পৌঁছাতে চাই।’urgentPhoto
এ সময় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দির আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর কারাগার প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪.৪১ একর জমির ওপর নির্মিত এই কারাগার তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত কারাগারের বন্দিদের এখানে স্থানান্তর করা হবে। এ মাসের মধ্যেই সব বন্দিকে নতুন এই কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হবে। তবে নারী বন্দিদের জন্য নির্ধারিত কারাগারের কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাদের কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।
নতুন কারাগারের দুটি অংশ রয়েছে। জেল-১ নির্মিত হয়েছে পুরুষ বন্দিদের জন্য এবং জেল-২ নারী বন্দিদের জন্য। এ ছাড়া এখানে ফাঁসির মঞ্চ, একটি হাসপাতাল এবং কারারক্ষীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।