রূপগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান। আজ বুধবার জানাজা শেষে তাঁকে নিজ গ্রাম মঙ্গলখালীতে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি খ অঞ্চল) জহির উদ্দিন জানান, গত সোমবার রাতে মুড়াপাড়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলখালী গ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন এবং দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী জব্বার মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় তোফাজ্জলের সমর্থক আলমগীরকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধরে নিয়ে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়াসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামি চারজনকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান এএসপি।
নিহত আলমগীরের মৃতদেহ বুধবার দুপুরে এলাকায় নেওয়া হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ।
মামলার বাদী হয়েছেন জাঙ্গাঙ্গীরের খালা শাশুড়ি মাসুদা বেগম। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এবার সংরিক্ষত মহিলা ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদপ্রার্থী।
সদস্য পদপ্রার্থী মাসুদা বেগম বলেন, নৌকার পক্ষে নির্বাচন করার কারণেই জাহাঙ্গীরকে জীবন দিতে হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যারা চায় না নৌকা মার্কা নির্বাচনে জয়লাভ করুক, তারাই জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেছে।