মিল্কি হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা কারাগারে
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এমদাদুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে আসামি রফিকুল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক রফিকুলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর।
পরোয়ানা দেওয়া আসামিরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু ও ফাহিমা ইসলাম লোপা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে ১৮ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
নিহত মিল্কির ভাই রাশেদ হক খান ২০১৫ সালের ৯ জুন অভিযোগপত্রে প্রকৃত আসামিদের নাম আসেনি মর্মে নারাজির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ভূইয়া ১৭ জুন আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণি বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরে মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এজাহার নামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।