সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশ ২৫ নভেম্বর
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় ১৮ আসামির বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মহানগর হাকিম বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের আদেশের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (সিআইডি) উত্তম কুমার বিশ্বাস এ অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন (সম্পূরক অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
তদন্তকারী কর্মকতা আগের অভিযোগপত্রের ১১ আসামির সঙ্গে আরো সাত আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আর ৯ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
এ ছাড়া চারজনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।
বর্তমানে ১৮ আসামি হলেন সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মাহমুদ ওরফে সোহেল ভূঁইয়া, মো. চুন্নু মিয়া, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. সাহিদুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম খলিল্লাহ, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু, তুহিন রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রকাশ রুমী, মোহাম্মদ রাশেদ মাহমুদ ওরফে আলী হোসেন রাশেদ ওরফে মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, মো. সুজন হাওলাদার, ডা. দেওয়ান মো. ফরিউদ্দৌলা ওরফে পাপ্পু ও মো. মামুন উর রশীদ।
এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
অব্যাহতিদানের সুপারিশপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন এস এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক ওরফে কিলার তারেক, মো. মাহবুবুল হক হিরক, জাহিদুল ইসলাম টিপু, আবুল মোনায়েম মোহাম্মদ আমিনুল এহসান বাবু ওরফে টমেটো বাবু ওরফে ডিস বাবু, এনামুল হক, মাসুম উদ্দিন, আহকাম উল্লাহ, ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ আরিফ ভূঁইয়া ও তানজিম মাহমুদ তানিম।
এর আগে ২০১৪ সালের ৯ জুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটিকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ না করায় মামলার বাদী ও নিহত মিল্কির ভাই রাশেদ হক খান মিল্কি মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে দেওয়ার আবেদন করেন। পরে ১৭ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরে মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এজাহারনামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।