ইউপি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেলেন ভৈরবের প্রার্থীরা

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ভৈরবের সাত ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে পুরো উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী, তাদের কর্মী-সমর্থক ও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
সকাল ১০টা থেকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও বিআরডিবি কর্মকর্তার কার্যালয় এলাকায় ভিড় জমে ওঠে। পরে সাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১২ জনকে দলীয় প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষ এবং ১৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত প্রতীকসহ মোট ২৭ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
একই সময় সাত ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদের ২৩০ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৭ জন নারী প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর চেয়ারম্যানসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে যেসব প্রতীক চেয়ে একাধিক প্রার্থী আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সাতজন, বিএনপির পাঁচজন, জাতীয় পার্টির পাঁচজন, ইসলামী শাসনতন্ত্র বাংলাদেশের তিনজন এবং স্বতন্ত্র ১৫ জনসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ৬৩টি ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য পদে ২৫৬ এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ৭১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে গত ১০ ও ১১ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ছয়জন সাধারণ ও একজন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আর গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদের আটজন, সাধারণ সদস্য ২০ জন এবং সংরক্ষিত আসনের তিনজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চতুর্থ দফা নির্বাচনের অংশ হিসেবে ভৈরব উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ জন। ৭০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।