মুরাদনগর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিরুদ্ধে। 

আজ বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধরা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার ২২ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরকার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।’

‘কিন্তু তিনি তৃণমূলের মতামত ছাড়াই একক স্বাক্ষরে নিজের পছন্দের লোকদের একটি প্রস্তাবিত তালিকা কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। এতে অনেকেই এখন টাকা ফেরত পেতে জাহাঙ্গীর সরকারের ঢাকার কার্যালয় ও বাসায় ভিড় করছেন’, যোগ করেন আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান। 

সংবাদ সম্মেলনে টনকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার অভিযোগ করেন, ‘আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কথা দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকার ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পরে ৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক অন্য একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আমি টাকা ফেরত চাইলে এখন উল্টো আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইদ্রিস আলী, বাচ্চু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুমন আহমেদ সরকার প্রমুখ। 

তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।