শরীয়তপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা, ভাঙচুর

শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাশার, বিনোদপুর ও শৌলপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ১৭ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে তুলাশারে আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ফকিরের সমর্থকদের অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বিজয়ী প্রার্থী জাহিদ ফকিরের সমর্থকরা। অপরদিকে রুদ্রকরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পালং থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিনদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য লিটন মুন্সীর সমর্থকরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল বের করে। এ সময় পরাজিত সদস্য রাজ্জাক মুন্সীর সমর্থকরা লিটন মুন্সীর বাড়িঘরে হামলা করে। এ সময় সাতজন আহত হয়।
আজ রোববার সকালে তুলাশার ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ফকিরের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে।
এ সময় ইউনিয়নের দক্ষিণ গোয়ালদি, বড়াইল, দশরশি, উপরগাঁও, মৃধাকান্দি, বাইশরশি, চরপাতানিধি, সরদারকান্দি গ্রামে হামলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহত হয় তিনজন।
তুলাশার ইউপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন ফকির বলেন, বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের সমর্থকরা তুলাশার ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের আমার সমর্থকদের এক দেড়শ ঘরবাড়ি ও আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে।
বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির বলেন, কিছু কিছু জায়গায় সমর্থদের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার জানা ছিল না। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শৌলপাড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গা গ্রামের পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
রুদ্রকর ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন চৌকিদারের সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালির দুই সমর্থক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, কিছু এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এলাকাগুলো এখন শান্ত রয়েছে।