ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি, জাপার ১০ ইউপিতে ভোট বর্জন

ভোটে অনিয়ম, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতেই ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
আখাউড়া উপজেলায় ধরখার ইউপিতে বিএনপির হুমায়ূন কবীর জীবন, জাতীয় পার্টির সফিকুল ইসলাম, মোগড়া ইউপিতে বিএনপির মো. নান্নু মিয়া, মনিয়ন্দ ইউপিতে বিএনপির রবিউল্লাহ ভূঁইয়া লাচ্চু, আখাউড়া উত্তর ইউপিতে বিএনপির আল-আমিন ভূঁইয়া ও দক্ষিণ ইউপিতে বিএনপির শাহনেওয়াজ খান ভোট বর্জন করেন।
এ ছাড়া বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণপুর, সিঙ্গারবিল, পত্তন ও বুধন্তী ইউপিতে বিএনপির প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
আজ শনিবার বিছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে আখাউড়া ও বিজয়নগরের ১৫ ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এদিন বেলা ১১টায় বিজয়নগর উপজেলার আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে।
এ সময় আখাউড়া-চান্দুরা সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ছাড়া বুধন্তী ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জিয়া উদ্দিন খান নয়ন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর এই ইউনিয়নের টেকপাড়া কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে আখাউড়ায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নে কয়েকটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছে।