পরীক্ষা দিতে না পারায় ঝিনাইদহে ১৫ শিক্ষার্থীর কান্না
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ঝিনাইদহের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী। জেলার কালীগঞ্জের মাহাতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য পাঁচজনের জনের কথা স্বীকার করেছে।
আজ বুধবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার দিনে এ ঘটনা ঘটে। সকালেও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ছুটে যান।
কেন এমন ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে, অধ্যক্ষ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ শিক্ষার্থীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে কলেজ প্রাঙ্গণ। সেখানে উপস্থিত অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, কয়েক দিন ধরে ছেলেমেয়ের নিবন্ধনপত্র ও প্রবেশপত্রের জন্য কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ধরনা দিয়ে তাঁরা ব্যর্থ হন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁরা যথা সময়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ফরম পূরণ করেছেন। তবু অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর নিবন্ধনপত্র ও প্রবেশপত্র পায়নি। এতে চলতি পরীক্ষায় তাঁরা অংশ নিতে পারেননি। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাঁরা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
কলেজের প্রধান সহকারী কর্মকর্তা রজব আলী প্রাথমিকভাবে পাঁচজনের কথা স্বীকার করে জানান, ঠিক কতজন ছেলেমেয়ে প্রবেশপত্র পাননি তা এখনো খতিয়ে দেখা হয়নি।
এ ব্যাপারে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মজিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ ধরনের ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের এ ঘটনা তাঁকে জানানো হয়নি। তিনি ঘটনার জন্য সরাসরি কলেজের অধ্যক্ষকে দায়ী করেন।
চেয়ারম্যান আরো জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণ করে পাঠালেও কমপক্ষে ২০০ ছেলেমেয়ে ছবি পাঠায়নি। শেষ মুহূর্তে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের অনুরোধে তাদের প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কী কারণে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে তা কলেজ কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে।
একই কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মানোয়ার হোসেন মোল্লা।
কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় তিনটি বিভাগে ৬৯৬ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১১১ জন, মানবিক বিভাগে ৫১১ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন।