মেহেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামে সাগরিকা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সেন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত সাগরিকা খাতুন গাংনীর পশ্চিমমালসহ গ্রামের কুতুব উদ্দিনের মেয়ে। সাগরিকার পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, নয় বছর আগে পশ্চিমমালসহ গ্রামের কুতুব উদ্দিনের মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে হোগলবাড়িয়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি মেয়েসন্তান জন্ম নেয়। এর পরও নানা কারণে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাগরিকাকে প্রায় নির্যাতন করতেন। গতকাল রোববার বিকেলে আবারও সাগরিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীর ঝগড়া হয়।
সাগরিকা খাতুনের চাচা জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনের অংশ হিসেবে রোববার রাতের কোনো একসময় সাগরিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। সকালে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
জামাল উদ্দিন বলেন, স্বামী সেন্টুসহ তার পরিবারের লোকজন সাগরিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তিনি তাদের মেয়ে হত্যার বিচার চান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাগরিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে আসল ঘটনা জানা যাবে। নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।