নওগাঁর খট্টেশ্বরে ভোটকেন্দ্রে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/06/08/photo-1465370401.jpg)
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকালে গত ২৮ মে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান পিন্টু।
রানীনগর প্রেসক্লাবে গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান পিন্টু এক লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।
গত ২৮ মে পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন চলাকালে আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা, সিম্বা ও লোহাচুড়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে ওই তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
লিখিত বক্তব্যে পিন্টু বলেন, ‘গত ২৮ মে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) গোলাম মোস্তফার বাহিনী আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ব্যালট ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হামলা ও ককটেল ফাটিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। তারা রানীনগরকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির নামে প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে মামলা দায়েরও করেছে। তবে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি। এতে আসামিদের হুমকি-ধমকিতে আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা, সিম্বা ও লোহাচুড়া কেন্দ্রের ভোটাররা চরম আতঙ্কিত।’
‘অবিলম্বে চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হলে স্থগিত ওই তিনটি কেন্দ্রের ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না।’
পিন্টু বলেন, ‘গোলাম মোস্তফা ওই দিন দুপুরে ভোটকেন্দ্র দখল ও কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারেরও চেষ্টা করে। প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল নির্বাচনের সময় আইন অমান্য করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও বুথে প্রবেশ করে। এমনকি তিনি তাঁর ভাই গোলাম মোস্তফাকে অনৈতিকভাবে জেতানোর জন্য নিকট আত্মীয়দের সহকারী পোলিং অফিসার ও এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছ্নে। তবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত জেনে সন্ত্রাস ও হামলার পথ বেছে নেয় তাঁরা।’
পিন্টু বলেন, ‘ভোটের দিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম তাঁর এলাকার ভোটকেন্দ্র বরবরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন। এমপি আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র অতিক্রম করা মাত্র তাঁকে অনুসরণ করা মোটরসাইকেল আরোহী জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও রানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান মোহনসহ দলীয় অন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেন হেলালের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। যারা হামলার শিকার তাদের ওপরই লাঠিচার্জ করা হয়।’
পিন্টু বলেন, ‘পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। এই (খট্টেশ্বর) ইউনিয়নেও নৌকার বিজয় নিশ্চিত জেনে সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র, অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বিদ্রোহীরা।’