মান্দায় মসজিদের টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর
নওগাঁর মান্দায় মসজিদের টাকা নিয়ে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার বড়বেলালদহ উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর আজ শনিবার সকালে গ্রামের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের হিসাব-নিকাশ ও তারাবিহ নামাজের টাকা নিয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ও তাঁর ভাই করমত উল্লাহর সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস আলীর বাকবিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সমর্থক বিদ্যুৎ, ফিরোজ, শরীফসহ ১০-১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বিরোধীপক্ষের লোকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও ইদ্রিস আলী (৩০) গুরুতর জখম হন।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সাইফুল পক্ষের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় সাইফুল ইসলাম (৩৬), পারুল বিবি (২২), মামুনুর রশিদ (২২), লইমুদ্দীন মণ্ডল (৪২), সুখী বিবি (২৫), মেহেদী হাসান (১৮), রবিউল (১৫), হামিদুর (২২), বিদ্যুৎ (১৯), ফিরোজ (২৮), শরীফ (৩০), বায়োজিদ (৯), রিনা খাতুন (৯), আব্দুর রাজ্জাক (৩২), উজ্জ্বল (১৮) ও আবদুল মজিদ (২৫) আহত হন।
এঁদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহিদুল ইসলাম, লইমুদ্দীন মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম ও পারুল বিবিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার সকালে আক্কাস মেম্বারের পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের সামসুল ইসলাস, শরীফ উদ্দিন ও জনাব আলীর বাড়ি ভাঙচুর করে।
বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
তবে বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস আলী। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাঁর পক্ষের লোকজনের ওপর দায় চাপানো পাঁয়তারা করছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বর্তমান ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, পুলিশ মোতায়েনের পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।