সন্ত্রাসী পেলেই যা দরকার করবেন, দায়িত্ব আমার

সন্ত্রাসী সামনে পাওয়া মাত্রই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান। এর জন্য কারো জেল-জুলুম ফাঁসি হলে সেই দায়িত্ব তিনি নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে ডিআইজি এ কথা বলেন। ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি গঠন উপলক্ষে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান ডিফেন্স পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার পাড়া-মহল্লায় যদি নতুন কোনো লোক আসে, নতুন কোনো ছেলে আসে, আপনারা সংগঠিত হয়ে, আমরা আজকে ডিফেন্স পার্টি গঠন করলাম, আপনারা তাদের জিজ্ঞাসা করেন- কোথায় যাবেন? কার বাড়িতে আসছেন, কবে আসছেন, যদি সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে না পারে- পুলিশ আছে, র্যাব আছে, বিজিবি আছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা আছে, তাদের আপনারা সংবাদ দেন- অপরিচিত লোক অসৎ উদ্দেশে এখানে সংগঠিত হয়েছে। আর যদি এমন হয় তাকে তল্লাশি করে তার কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র পান, মানুষকে মারার জন্য, মানুষকে হত্যা করার জন্য কোনো ধরনের অস্ত্র পান- দা, চাপাতি বা এ ধরনের কোনো অস্ত্র পান- তবে সাথে সাথে যা করা দরকার সেটা করেন। এর জন্য যদি কারো জেল-জুলুম বা ফাঁসি হয় সে দায়িত্ব আমার।’
মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুজিবনগরের মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন প্রমুখ।
ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান আরো বলেন, জঙ্গির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমে উৎসাহিত হয়ে যারা লাঠি ও বাঁশি নিয়ে ডিফেন্স পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে দেশে সন্ত্রাস বন্ধ হবে। লাঠি-বাঁশির এ প্রতীকী ব্যবস্থাপনা সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করলে গুটিকতক সন্ত্রাসী তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ শেষে ডিফেন্স পার্টির সদস্যদের হাতে লাঠি, বাঁশি ও টর্চ লাইট তুলে দেন ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান।