সড়ক যেন মরণফাঁদ!

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কয়েকটি সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইটভাটার জন্য নেওয়া মাটি পড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সড়ককে পিচ্ছিল করে তুলছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পোড়াপাড়া, বামন্দী, গাংনী থানা রোড, গাংনী-হাড়িয়াদহ এলাকাসহ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইটভাটার মাটি পড়ে বৃষ্টির পানিতে সড়কের বেহাল দশা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকটি স্থানে অনন্ত আটটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছরই এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী। ফলে অসহায়ের মতো ওই সব সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, পোড়াপাড়া এলাকার কয়েকটি ইটভাটায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক দিয়ে নিয়মিত মাটি পরিবহন করা হয়। অসচেতনভাবে ট্রাক, ট্রাক্টর ও ট্রলিতে করে মাটি পরিবহন করায় তা ছিটকে পড়ে সড়কে। এরপর বৃষ্টির পানিতে সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে পিচ্ছিল হয়। এতে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।
গতকাল বিকেলে বৃষ্টির পর পোড়াপাড়া এলাকার বিভিন্ন সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী চিৎলা গ্রামের শাহেদ হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা আহত হয়। একই সময় আলমপুর গ্রামের নবীর উদ্দীন মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে পড়ে যান। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনার আহত হন নয়জন। তাঁদের মধ্যে উপজেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনজন।
এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ উর জামান প্রতিকারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি পরিবহন বন্ধ ও এর সঙ্গে জড়িতদের সাজা দেওয়া হবে।