চকরিয়ায় আ. লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নুরুল হুদা (৬০) বদরখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ব্লকের মগনামা পাড়ার মৃত আবুল আহমদের ছেলে এবং ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ব্লকের টুটিয়াখালী পাড়া মুজিব কিল্লাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশের তদন্তে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যানুযায়ী ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মামলা রুজু করা হবে।’
নিহত নুরুল হুদার ছেলে মো. শাহজাহান বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল চাচাতো ভাইদের মধ্যে। ওই বিরোধের জের ধরে বাবার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে কথাকাটাকাটি হয় চাচাতো ভাই ছিদ্দিক আহমদ ওরফে লম্বা ছিদ্দিকের সঙ্গে।’
‘রাত ১২টার দিকে বদরখালী বাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে থেকে লম্বা ছিদ্দিক, মানিক, কাইয়ুমসহ কয়েকজন মিলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে আমার বাবাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে খবর পাই, আমার বাবার জবাই করা লাশ টুটিয়াখালী পাড়ার মুজিব কিল্লার পাশে সড়কের ধারে পড়ে রয়েছে’, যোগ করেন শাহজাহান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হাসেম জানান, ঈদ বাজারের জন্য বদরখালী বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের সমাগম ছিল। ১২টার দিকে লম্বা ছিদ্দিকের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমি অটোরিকশার গতি রোধ করার চেষ্টা করি। কিন্তু দ্রুতগতিতে অটোরিকশাটি অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
নিহত নুরুল হুদা কট্টর আওয়ামী লীগ এবং তাঁর ভাতিজা লম্বা সিদ্দিক কট্টর জামায়াত সমর্থক, বলেন আবুল হাসেম।