ভৈরবে সাপ্লাইয়ের পানিতে কেঁচো, ময়লা-আবর্জনা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/21/photo-1429614576.jpg)
সংস্কারের অভাবে ভৈরব শহরে পানি আয়রনমুক্ত করে বিশুদ্ধ করার প্ল্যান্টটির অবস্থা খুবই নাজুক। এ কারণে বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শহরবাসী। তা ছাড়া সরবরাহ পাইপের ত্রুটির কারণে সাপ্লাইয়ের পানির সাথে কেঁচো, ময়লা-আবর্জনা আর শ্যাওলা আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতি মাসে পানির বিল আদায়ে পৌর কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও নিয়মিত পানি সরবরাহে গাফিলতি হচ্ছে উল্লেখ করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছে ভৈরববাসী।
পানির গ্রাহকরা জানায়, সাপ্লাইয়ের পানির সঙ্গে ছোট ছোট কেঁচো আসে এবং তার সঙ্গে ছোট ছোট মাছও আসে। খুব ময়লা পানি। নর্দমার পানিও আসে। বাচ্চাদের পেট খারাপ করে। এই পানি কোনোভাবেই ব্যবহারের উপযোগী না। এ ছাড়া পানি এক দিন দুই দিন পর পর আসে।
পৌরসভার সার ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমার মতো এমন আরো অসংখ্য গ্রাহক পানি খারাপের কারণে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।’
পৌরসভার আরেক বাসিন্দা হাজি সেন্টু মিয়া বলেন, ‘সাপ্লাইয়ের পানির সাথে ছোট ছোট কেঁচো আসে। সাথে মাছও আসে।’
পানি সরবরাহ নিয়ে পৌরবাসীর সব অভিযোগ স্বীকার করে নতুন প্রকল্প চালু হলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান ভৈরব পৌরসভার মেয়র হাজি মো. শাহীন। তিনি বলেন, ২৫ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করে সুন্দর পানির শাখা স্থাপন করা হবে এবং ভৈরববাসী পানি দিয়ে অত্যন্ত লাভবান এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানি ব্যবহার করতে পারবেন বলে আমি আশা করি।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকায় প্রায় ১৭ বছর আগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রথমভাগে ১৯৯৮-২০০০ অর্থবছরে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় প্রকল্পটির আয়রন দূরীকরণ প্ল্যান্ট। আর দ্বিতীয়ভাগে ২০০২-২০০৪ অর্থ বছরে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেড় লাখ গ্যালন পানি ধারণ ক্ষমতার ১২৫ ফুট উচ্চতার একটি জলাধার। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই আয়রন দূরীকরণ প্ল্যান্টে নানা ত্রুটি দেখা দেয়।
এই প্ল্যান্টের সহকারী পাম্প অপারেটর মো. মজনু মিয়া বলেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রকল্পটি সংরক্ষিত নয়। এতে বিশেষ ছাউনির ব্যবস্থা থাকলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।