অবৈধ ভবন অপসারণ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ

অবৈধ ভবন অপসারণ না হওয়ায় মাগুরা জেলা শহরের কাঁচাবাজার থেকে চাউলিয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়কে ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে শহরের উত্তর তাঁড়িপাড়া এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান ভাসান বলেন, সড়কটিতে ১০ আগস্ট ড্রেন নির্মাণে কাজ শুরু হয়। কিন্তু অবৈধ ওই ভবনের কারণে কাজ বন্ধ আছে। মাটি খননের সময় এলাকার পানির পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সপ্তাহ দুয়েক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর মাটি খনন করে রাস্তায় রাখায় কাদা জমে রয়েছে। এতে চলাচলেও ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লিখিত সংযোগ সড়কের একটি অংশজুড়ে অবৈধভাবে শেখ হেলাল নামের এক ব্যক্তির একটি ভবন রয়েছে। সেখানে ইসলামিয়া টেইলার্স নামের তাঁর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। পৌর ম্যাপ অনুযায়ী সড়কটি ১৮ ফুট হওয়ার কথা। কিন্তু অবৈধ ওই ভবনের কারণে সড়কের ওই অংশ অনেকটা বাঁকা হয়ে আছে। এতে ওই অংশে সড়কটি মাত্র ১৩ ফুট প্রশস্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌর সার্ভেয়ার কর্তৃক একাধিকবার পরিমাপের পর পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার গত সোমবার (২২ আগস্ট) অবৈধ ওই ভবন তিনদিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার জন্য এবং সড়ক প্রশস্ত ও ড্রেন নির্মাণকাজে সহযোগিতা করার জন্য দখলদারকে নোটিশ দিয়েছেন। তবে শেখ হেলাল ওই নোটিশের নির্দেশ এখনো অনুসরণ করেননি।
এ ব্যাপারে মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল জানান, প্রথম নোটিশের মেয়াদ শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় নোটিশ পাঠানো হবে। তারপরও দখলদার যদি নির্দেশ অনুসরণ না করেন তবে আইন অনুযায়ী অবৈধ ওই ভবন অপসারণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভবন মালিক শেখ হেলাল জানান, নিয়ম যথাযথভাবে মেনে নকশা অনুমোদনের মাধ্যমে ২০ বছর আগে তিনি ভবন নির্মাণ করেন। তবে পৌর ম্যাপ অনুযায়ী তাঁর ভবনের কিছু অংশ সড়কটিতে পড়েছে।
পৌরসভার সার্ভেয়ার শাহিনুর রহমান বলেন, ১৯২২ সালে সড়কটি ১৫ ফুট প্রশস্ত ছিল। এরপর ১৯৬২ সালে এটি ১৮ ফুট হয়। এরপর ১৯৯৬ সালের জরিপেও সড়কটির প্রশস্ততা ১৮ ফুট বহাল থাকে।
মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম হিরক বলেন, পৌরসভা থেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণ করা হয়নি। এ জন্য আইনগতভাবে দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।