কয়েক হাজার বহিরাগত সন্ত্রাসী চট্টগ্রামে : আমীর খসরু
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার বহিরাগত সন্ত্রাসী চট্টগ্রামে জড়ো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চেীধুরী। আজ সোমবার দুপুরে নগরীর মেহেদীবাগের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন।urgentPhoto
সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু অভিযোগ করে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখলসহ ভোটের ফলাফল পক্ষে নিতে ফেনীসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল সন্ত্রাসী জড়ো করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারদলীয় নেতারাও আইন অমান্য করে অবস্থান নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ভোটাররা শঙ্কার মধ্যে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল রাতেই নির্বাচনের কাজে আসা বহিরাগতদের চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ, সরকারি সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের তিন তারকা আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করছেন।পাশাপাশি ফেনীসহ আশপাশের জেলা থেকে বিপুল সন্ত্রাসী নগরীর সল্ট গোলা বিজিএমই ভবন, আবাসিক হোটেল, কটেজ, মাদারবাড়ী গেস্ট হাউস, মোটেল, সিটি করপোরেশন রেস্ট হাউসসহ সরকারি বেসরকারি ভবনে অবস্হান করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশ একটি পক্ষ নিয়ে নিয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী থাকলে একটি সাইকোলজি ইফেক্ট জনগণের মধ্যে ভোটারদের মধ্যে থাকবে। সেনাবাহিনী নির্বাচনী কাজে মুভ করলে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক থাকবে।’ তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর এজেন্টদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে তাদের বাড়িঘরে পুলিশ তল্লাশিসহ আটক করছে। নাসিরাবাদ এলাকা থেকে চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী আটক করলে তাদের অস্ত্র উদ্ধার করা হলে ওই এলাকার পরিস্থিতি ভিন্নতর হবে।
তবে এ রকম সন্ত্রাসীর সংখ্যা কম। কিন্তু তাদের হাতে অস্ত্র থাকায় আমাদের শঙ্কা বাড়ছে।’ এলাকায় এলাকায় তল্লাশি করে বাইরে থেকে আসা লোকজনকে ধরার দাবি জানান আবদুল্লাহ আল নোমান।