ভোট বর্জনের কারণ জানালেন আফরোজা আব্বাস
ঢাকা দক্ষিণ থেকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, ভোট ডাকাতি হয়েছে। তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সংবাদকর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কেউ ভোট দিতে পারেননি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা আব্বাস এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণা দেন।urgentPhoto
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। এ ছাড়া বিএনপির শীর্ষ অনেক নেতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আফরোজা আব্বাস বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁর যাওয়া ও কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখার কথা ছিল। এর মধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তিনি অভিযোগ পান যে, কোনো কেন্দ্রেই তাঁদের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, প্রথমে তিনি ফকিরাপুলের কোমরগলি কেন্দ্রে যান। তাঁর সঙ্গে ওই সময় ১০-১২টি মিডিয়ার লোকজন ছিল। ওই সময় তিনি লাঞ্ছিত হন। একইভাবে সংবাদকর্মীরাও লাঞ্ছিত হন। সংবাদকর্মীরা স্বচক্ষে দেখেছেন কী ঘটেছে।
আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, তাঁর এজেন্টদের পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থান আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছিল। তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে যাওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাঁকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, অনেক কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। অনেক কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে পারেননি। অনেক কেন্দ্রে বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার শেষ।
প্রশ্ন করা হলে প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, তাঁর কিছু করার নেই। ব্যালট পেপার ও ভোটার লিস্ট ছিনতাই হয়ে গেছে। ৯০ শতাংশ কেন্দ্রে এমনটি দেখা গেছে। ব্যালট বাক্সগুলো ভরে ফেলা হয়েছে।
আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, যাঁরা আসল ভোটার, তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যেতেও পারেননি। আর যাঁরা ভোট দিতে গেছেন, তাঁরাও জেনেছেন ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোট ডাকাতি হয়েছে। ওরা (আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা) বাস ভরে লোক নিয়ে এসেছে। অন্য কেউ ভোট দিতে পারেননি।