চিরবিদায় কবি শহীদ কাদরী
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শায়িত হলেন সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শহীদ কাদরী।
আজ বুধবার সকালে নিউইয়র্ক থেকে কবির মরদেহ দেশে আনার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ। পরে জানাজা শেষে বিকেলে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁর লাশ।
নিউইয়র্ক থেকে আজ সকালেই কবির মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন।
বাদ জোহর তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে।
পঞ্চাশোত্তর বাংলা কবিতায় আধুনিক মনন ও জীবনবোধ সৃষ্টিতে যে কজন কবি উল্লেখযোগ্য তাঁদের মধ্য অন্যতম কবি শহীদ কাদরী।
‘উত্তরাধিকার’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’ ও ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ এই চারটি কাব্যগ্রন্থ দিয়েই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন শহীদ কাদরী। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১১ সালে একুশে পদক অর্জন করেন তিনি।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট কলকাতায় জন্ম নেওয়া শহীদ কাদরী সাতচল্লিশে দেশভাগের পর বাংলাদেশে আসেন। ১৯৭৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের বাইরে তিনি। ১৯৮৫ সালে স্থায়ী হন যুক্তরাষ্ট্রে।
নিউমোনিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও জ্বরসহ নানা রোগে ভুগে রোববার নিউইয়র্কের হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
শহীদ কাদরীর ইচ্ছায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয় বলে জানান তাঁর স্ত্রী নীরা কাদরী।