ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না, শ্রমিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ট্রেড ইউনিয়নের নামে ‘উসকানির মুখে’ শ্রমিকদের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত আর যাতে ধ্বংসাত্মক কাজ করতে না পারে সেজন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মে দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
urgentPhoto
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে কল-কারখানা জাতীয়করণ করে তা পুনরায় চালু করেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধুই মে দিবসে ছুটি ঘোষণা করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই দেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের অধিকার পায়।
দুই দফা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, জীবনযাত্রা ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি পুনর্নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
‘এবারও আমরা সরকার গঠন করেছি। ইনশাল্লাহ, আগামীতেও আমরা মজুরি কমিশন ঘোষণা করব। ট্রেড ইউনিয়ন মানে এই না যে, শ্রমিকদের শুধু উসকিয়ে দেবে আর সেই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে যে শিল্প তার অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয় সেই শিল্পকে ধ্বংস করবে। এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে আমাদের শ্রমিকরা লিপ্ত হবেন না, এটাই আমি চাই।’
শ্রমিকদের সহনশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিক কল্যাণের দিকটি খেয়াল রাখার। আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিক উন্নয়নে কাজ করছে আর বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘এই ধ্বংসাত্মক কাজ, সন্ত্রাসী কাজ, নাশকতামূলক কাজ আর বাংলাদেশে যেন কেউ ঘটাতে না পারে আমাদের দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আমি সেই আহ্বানই জানাব। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বাংলাদেশে বজায় থাকবে এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে প্রত্যেকে লিপ্ত হবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের বর্তমান মেয়াদের বাকি তিন বছর আট মাসের মধ্যেই দারিদ্র্যের হার আরো ১০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি।