পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, পাড়ে চাঁদার চিরকুট

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ‘চাঁদা না দেওয়ায়’ এক চাষির পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই পুকুরের পাড় থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের চাষি মো. আবদুল্লাহর পুকুরে এ বিষ প্রয়োগ করা হয়। চাষির দাবি, তাঁর ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ‘মৎস্য গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত ষোলটাকা গ্রামের মাছচাষিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চাষি আবদুল্লাহ জানান, তিনদিন আগে একটি নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থী সংগঠন লাল পতাকার পরিচয়ে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আবারও চাঁদা পরিশোধ না করায় চরম মূল্য দিতে হবে এমন হুমকি দিয়ে কল কেটে দেন ওই ব্যক্তি। এর জেরেই বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করছেন আবদুল্লাহ।
আজ শনিবার সকালে পুকুরে গিয়ে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন চাষি আবদুল্লাহ। পুকুরপাড়ে বিষের খালি বোতল দেখে তিনি বিষ প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় পুকুরে থাকা সাত হাজার পাঙ্গাশ মাছসহ রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ মারা যায়। এতে আনুমানিক ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় পুকুরপাড় থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘আজ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ না করা হলে আবদুল্লাহর অন্যান্য পুকুরেও বিষ দিয়ে মাছ মারা হবে।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সন্ত্রাসী চক্রের মোবাইল নম্বর শনাক্তের কাজ চলছে। সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হবে।