দৌলতদিয়ায় জিও ব্যাগ ফেলে ঘাট রক্ষার নির্দেশ নৌমন্ত্রীর
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ)
ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাটগুলো টিকিয়ে রাখতে দ্রুত জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার তিন এবং চার নম্বর ভাঙনকবলিত ফেরিঘাট পরিদর্শন শেষে এই নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে পদ্মা নদীর যে গতিবেগ এবং ভাঙন তাতে প্রচণ্ড স্রোতে ফেরিঘাটগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্রোতের তীব্রতা এতই যে ঘাটগুলো বার বার মেরামত করার পরও তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ঈদের আগে চারটি ফেরিঘাটই চালু রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যতটা সম্ভব এ ভাঙন প্রতিরোধে সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে আগামী বছর যাতে ফেরিঘাট এবং ঘাট এলাকা রক্ষা করা যায় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য,পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘাটগুলো রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভোলা নাথ দে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল, গোয়ালন্দ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পংকজ কুমার ঘোষ, উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বরে পদ্মা নদীর ভাঙণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারের মধ্যে ১২ লাখ টাকা বিতরণ করেন।