দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন, তীব্র যানজট
পদ্মা নদীর ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়ার চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে দুটি ঘাট বন্ধ থাকায় দীর্ঘ আট কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেরিঘাটের ২ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রয়েছে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর চার নম্বর ফেরিঘাটটি দিয়ে শুধু ছোট যানবাহন যেমন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস পারাপার করা হলেও অধিকাংশ সময় এ ঘাট বন্ধ থাকছে।
ফেরিঘাটের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে দৌলতদিয়া বিআইডাব্লিউটিএর ঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে জানান, বর্তমানে ১ এবং ৩ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে স্বাভাবিক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৪ নম্বর ঘাটটি দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কোনো বড় গাড়ি পারাপার করা যাচ্ছে না। শুধু ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে বিআইডাব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, নদীর পাড় ভাঙনের ফলে ফেরিঘাটের পাশের সংযোগ সড়কটি আংশিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ৪ নম্বর ফেরিঘাটটি কখনো কখনো সাময়িক বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এদিকে ঘাট সংকটের কারণে নদীপারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ রেলক্রসিং পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কে নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহনগুলো।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ঈদ শেষে একসঙ্গে সব মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এই যানজট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ যানজট এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জিহাদুল কবির বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ৩৫০ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া ঘাট এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।