হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন, পুলিশের বাধা

মাগুরা ইছাখাদা বাজারের টেইলার্স ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বণিক সমিতি। তবে পুলিশি বাধার কারণে মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করতে না পেরে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বাজারের মধ্যে তাদের কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে এই মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে ব্যবসায়ী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিল।
মানববন্ধনে বণিক সমিতির সভাপতি কাজী ফিরোজ আহমেদ ও নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন দাবি করেন, প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাশের হৃদয়পুর গ্রামের মন্দিরা, তাঁর বাবা সুবোধ, স্বামী পলাশ ও ভাই ঐশিক পরিকল্পিতভাবে হুমায়ুনকে মোবাইল ফোনে ডেকেনিয়ে নিষ্ঠুরভাবে খুনের পর তাঁর মুখ ও শরীর পুড়িয়ে দেয়। মানববন্ধনে এ হত্যা মামলার আসামিরা সাতদিনেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আসামি সুবোধ কুমার আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন তাঁর বিষয়ে নীরব।
মানববন্ধন ও সমাবেশের পর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিহত হুমায়ুনের পরিবার। এতে হুমায়ুনের স্ত্রী স্বপ্না, ছোট বোন রত্না খাতুন, দুই মেয়ে হুমাইয়া ও সুমাইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন হুমায়ুনের স্ত্রী স্বপ্না ইসলাম দাবি করেন, সামান্য একটি ঘটনার জের ধরে তাঁদের এলাকার একটি ক্ষমতাশালী পরিবার হুমায়ুনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। অথচ এ বিষয়ে পরিবারটির কাছে অনেক আগেই ক্ষমা চেয়েছেন তাঁরা।
স্বপ্না ইসলাম আরো দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নৃশংস। হত্যার পর তাঁর চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। হাতের দশটি আঙুল কেটে শরীর ও মুখমণ্ডলসহ দেহের ওপরিভাগ এসিডে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির নিজ বাড়ী ইছাখাদা গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে পাশের গ্রাম হাটফাজিলপুর বাজারের পাশের ধানক্ষেত থেকে তাঁর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
এর আগে হুমায়ুন হত্যা মামলার অভিযুক্ত মন্দিরা ও তাঁর বাবা সুবোধ কুমার নিহত হুমায়ুন কবিরের নামে মাগুরা সদর থানায় নারী নির্যাতন মামলা করেন। ওই মামলায় হুমায়ুন প্রায় এক মাস হাজত বাসের পর ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে জামিনে ছাড়া পান।