জুনের পর শ্যালা নদীতে জাহাজ চলবে না : নৌমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/08/photo-1431090233.jpg)
সুন্দরবনের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আগামী জুন মাসের মধ্যে শ্যালা নদী দিয়ে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। একই সঙ্গে তিনি সিলেটের তামাবিল ও বিয়ানীবাজারের শেওলা শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শ্যালা নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার বিকল্প পথ হিসেবে মংলা-ঘুসিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। চলতি মাসে এই চ্যানেল দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে আরো জাহাজ চলাচল করবে। এটি সফল হলে জুন মাস থেকে শ্যালা নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা পাবে।
শাজাহান খান বলেন, তামাবিলকে একটি পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তরের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এই বন্দরের জন্য আরো জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তামাবিল শুল্ক স্টেশনের উন্নয়নে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। বন্দরটি এই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তামাবিল শুল্ক স্টেশনে যাওয়ার আগে মন্ত্রী বিয়ানীবাজারের শেওলা শুল্ক স্টেশনও পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ছয় মাসের মধ্যে শেওলা শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ শুরুরও আশ্বাস দেন।
মৌলভীবাজারের এনটিভি প্রতিনিধি এস এম উমেদ আলী জানান, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজার শহরের বেড়ির পার এলাকায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট দেশে নাশকতা চালাচ্ছে। যারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতা করছে তাদের বিচার হবে। একই সাথে নৈরাজ্য ও নাশকতায় হুকুমদাতা বেগম খালেদা জিয়াসহ যেসব নেতা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে।
জনতার জয়যাত্রা ব্যানার নিয়ে সিলেট সফরে যাওয়ার পথে মৌলভীবাজারের সমাবেশে যোগ দেন মন্ত্রী।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সৈয়দ মফচ্ছিল আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ওসমান আলী, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন প্রমুখ।