পতিসরে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারিবাড়ি প্রাঙ্গণের দেবেন্দ্র মঞ্চের পাশে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে দিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পতিসরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনার আলোকে শিক্ষক ও মা সমাবেশ, বিকেলে স্মারক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম, মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার, সাবেক সংসদ সদস্য মো. ওহিদুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান, আত্রাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেমন্ত হেনরী কুবি, রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রাহক এম মতিউর রহমান মামুন, মুনিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিকেলে ‘সভ্যতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক স্মারক আলোচনা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, রবীন্দ্রগবেষক অধ্যাপক মো. আবুল হায়াত, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী মফিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক আবেদ খান। স্মৃতিচারণা করেন বিশিষ্ট আলোচক রবীন্দ্রগবেষক আতাউল হক সিদ্দিকী, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারিবাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাড়ির পাশে বসে গ্রামীণ মেলা। মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোররা ভিড় করে। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পতিসর কাচারিবাড়ি প্রাঙ্গণ।