পূর্বধলায় একদিনে নিখোঁজ পাঁচ শিক্ষার্থী
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থী একদিনে নিখোঁজ হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা পূর্বধলা থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হচ্ছে উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারসংলগ্ন মহিষবেড় গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফ মিয়া (১৪), ফরিদ মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন (১৫), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (১৪), আইনুদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয় (১৩) ও হামেদ আলীর ছেলে রবিকুল ইসলাম (১৩)।
তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন শ্যামগঞ্জের শালদীঘা তালি-ই-মাটি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং নয়ন মিয়া একই মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর অপর তিনজন শ্যামগঞ্জের জালশুকা-কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। থানায় জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান।
ওসি জানান, এই পাঁচজনের মধ্যে বেলাল ও নয়ন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আর আরিফ তাদের ভাতিজা। অন্য দুজনের বাড়িও তাদের পাশাপাশি। নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থী বেলালের সঙ্গে একটি মুঠোফোন ছিল। নিখোঁজের দিন ও এর পরদিন ওই নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি। পরবর্তী সময় থেকে তার মোবাইল নম্বরটির সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, ১ অক্টোবর প্রতিদিনের মতো নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি।
আবদুর রহমান আরো জানান, ওই শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ হওয়ার দিন শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রেনে উঠেছে বলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়েছে। শিক্ষার্থী বেলালের সঙ্গে থাকা মুঠোফোনের নম্বরটি ট্র্যাকিং করে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় একটি মসজিদে অবস্থান করছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়। পরে সেখানে তাদের স্বজনদের পাঠানো হলেও সন্ধান মেলেনি তাদের। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কিংবা অপহরণের শিকার হওয়ার মতো কোনো ঘটনা হয়েছে কি না, তার তদন্ত চলছে।