গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গৃহবধূ ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ওই গৃহবধূর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি না তা আগামী ১৮ মের মধ্যে জানাতে জেলা প্রশাসক ও ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার জনস্বার্থে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নড়াইলে গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকবাশিত হলে তা আমরা আদালতের নজরে আনি। আদালত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নির্যাতিত নারীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
গত ৩০ এপ্রিল সকালে গৃহবধূ ববিতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরমধ্যে ছিলেন স্বামী, ভাশুর, শ্বশুর, শাশুড়ি, চাচাশ্বশুরসহ কয়েকজন প্রতিবেশী।
২০১৩ সালে নড়াইলের কাশিপুরের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের এড়েন্দা গ্রামের ববিতার। তবে শুরু থেকে শফিকুলের পরিবার ববিতাকে মেনে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ববিতার পরিবার। এক সময় শফিকুল যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে আইনের আশ্রয় নেন ববিতা। এতে খেপে গিয়ে যৌতুকের বিনিময়ে ববিতাকে মেনে নিতে রাজি হয় শফিকুলের পরিবার। ২৯ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরের দিনই তার ওপর চালানো হয় এই পাশবিক নির্যাতন।
এরপর গত ৫ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ববিতার মা খাদিজা বেগম।