বিচারপতি অসুস্থ, মুজাহিদের শুনানি হচ্ছে না আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিল শুনানি হচ্ছে না। আজ সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকলেও বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় শুনানি আজকের মতো মুলতবি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুজাহিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলাটি আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। আমরা আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু এ মামলা শোনার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অসুস্থ থাকায় মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না আজ।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আদালত সপ্তাহে তিনদিন এ মামলায় আপিলের শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সে হিসেবে আজ সোমবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত বুধবার চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আসামি পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ের বিরুদ্ধে মুজাহিদের পক্ষে আপিল আবেদন করা হয়েছে। আপিল বিভাগে এ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ২০১১ সালের ২১ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন কর্মকর্তারা। এরপর ২ আগস্ট তাঁকে ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
এর পর ২৬ আগস্ট শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে মুজাহিদের পক্ষে প্রথম এবং একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তাঁর ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর। গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ মে দিন ধার্য করে দেন ট্রাইব্যুনাল। উভয়পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত মোট চার দিবসে মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।