বরগুনায় খাদ্য কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে ‘কৃষকবন্ধন’
বরগুনা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ওই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক মো. মোশারেফ হোসেনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে কৃষকবন্ধন করেছে জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালনের সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতাসহ দুই শতাধিক কৃষক ও কৃষক প্রতিনিধি অংশ নেয়।
কৃষকবন্ধন চলার সময়ে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. এ কে আজাদ বাবলু, কৃষক নেতা আজমল হুদা মিঠু, রুহুল আমীন প্রমুখ।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে মো. মোশারেফ হোসেনের দুর্নীতি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই ওই কর্মকর্তার অপসারণসহ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্দোলনের নামে জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশন।
বরগুনা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক মো. মোশারেফ হোসেন গত এক বছরে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ধান-চাল ও গম কেনা-বেচার অন্তরালে সরকারের এক কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপেক্ষা করে দুর্নীতির এসব হিসাব-নিকাশ দেখাশোনায় তিনি নিজ কর্মস্থলে নিয়োগ করেছেন আপন ছোট ভাই ও বাবাকেও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাধারণ কৃষকের কৃষি কার্ড এবং ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে দিনের পর দিন দুর্নীতি করে যাচ্ছেন মো. মোশারেফ হোসেন। তাঁর কারণে ভেস্তে গেছে সরকারের ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ধান কেনার মহৎ প্রচেষ্টা। গত এক বছরেই গচ্চা গেছে সরকারের প্রায় দুই কোটি টাকা।
বরগুনা জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছর জুন ও জুলাই মাসে ন্যায্যমূল্যে স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে ৫৯২ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনে জেলার খাদ্য বিভাগ।
অন্যদিকে বরগুনার কৃষি বিভাগ ও জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার একজন কৃষকের কাছ থেকেও ধান কেনেনি খাদ্য বিভাগ।