দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে সুন্দরবনের জলদস্যু ‘সাগর বাহিনী’র আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা হলেন—সাগর বাহিনীর প্রধান মো. আলমগীর শেখ ওরফে সাগর (৩৫), এই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. কামরুল ফকির (২৭), আবদুল মালেক (৩৮), মো. কাদের শেখ (৩৮), মো. হাফিজুর রহমান শেখ (৪৬), মো. কাবীর শেখ (৩৪), মো. দেলোয়ার শেখ (৩৮), মো. হাসান সরদার (২২), মো. নান্না ফকির (২৯), মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪৩), মো. রাজু শেখ (২৮), মো. লিটন হাওলাদার (৩৪) ও মো. তরিকুল গাজী (৩২)। তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সুন্দরবন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ এলাকাকে বিপদমুক্ত রাখতে সরকারও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য এই এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানান। তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তিনি অন্য দস্যুদের অস্ত্র ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
আত্মসমর্পণকালে সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ২০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬টি গুলি জমা দেন।
জমা দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আটটি বিদেশি একনলা বন্দুক, তিনটি দেশি একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, দুটি বিদেশি এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি, দুটি বিদেশি কাটা রাইফেল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে মন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে করে বরগুনা পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বশিরুল আলম, পুলিশ সুপার (এসপি) বিজয় বসাকসহ র্যাব-৮-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সুন্দরবনের গহিনে দরজার খালে সাগর বাহিনীর দস্যুরা র্যাব-৮-এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।